শিরোনাম: অপেক্ষার প্রেম
তিথি আর রাহুলের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারা দুজনই ছিল একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, কিন্তু তিথি কখনও নিজের মনের কথা বলতে পারেনি। রাহুল ছিল সবসময় মিষ্টি, দায়িত্বশীল এবং তিথির সবচেয়ে বড় সমর্থন। তবে, রাহুলের অন্য শহরে একটি চাকরির প্রস্তাব আসে, যার ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
রাহুল যাওয়ার আগে তিথি তাকে বিদায় জানাতে আসে। রাহুলের মনে তখনও তিথির প্রতি ভালোবাসার কোনো প্রকাশ ছিল না। কিন্তু সে বিদায়ের মুহূর্তে তিথির চোখে এক গভীর বেদনার ছায়া দেখে থেমে যায়। তিথি আর নিজের আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারল না। সে রাহুলের হাত ধরে বলল, "রাহুল, আমি তোমাকে ভালোবাসি। অনেকদিন ধরে বলার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু কখনও সাহস পাইনি।"
রাহুল কিছুক্ষণ নীরব থেকে গভীর দৃষ্টিতে তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ, রাহুল ধীরে ধীরে মৃদু হাসল, তারপর বলল, "তিথি, আমি এতদিন ধরে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি সবসময় তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু ভেবেছিলাম তুমি আমাকে শুধু বন্ধু হিসেবেই দেখো।"
তাদের দুজনের মনে তখন এক গভীর প্রশান্তি। সেই মুহূর্তে, তারা দুজনেই জানত যে দূরত্ব তাদের ভালোবাসাকে আলাদা করতে পারবে না। বিদায়ের সেই সন্ধ্যায়, তারা প্রতিশ্রুতি করল, যত দূরেই থাকুক, ভালোবাসা সবসময়ই তাদের একত্রিত রাখবে।
রাহুল সেই রাতেই শহর ছেড়ে যায়, কিন্তু তিথি জানত যে তাদের ভালোবাসা একদিন নতুনভাবে ফিরে আসবে।